সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : হাওর অঞ্চলের সুনামগঞ্জ রেল যোগাযোগের আওতায় আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এম এ মান্নান মন্ত্রী হিসেবে আজ (১১ জানুয়ারি) শুক্রবার প্রথম সুনামগঞ্জে আসেন। বেলা সাড়ে তিনটায় তিনি জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জ এলাকায় তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌঁছান। এ সময় দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর বক্তব্য দিতে গিয়ে মন্ত্রী রেল যোগাযোগ স্থাপনের এই প্রতিশ্রুতি দেন।
এম এ মান্নান সুনামগঞ্জ-৩ আসন (জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। গত পাঁচ বছর তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
এম এ মান্নান সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ ও পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এরপর তিনি হজরত শাহজালালের (র.) মাজার জিয়ারত করে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে গোবিন্দগঞ্জ, ধারনবাজার, জাউয়াবাজার, পাগলাবাজার এলাকার মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
শান্তিগঞ্জ এলাকায় তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এম এ মান্নান বলেন,‘ সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট হচ্ছে। সুনামগঞ্জে রেল লাইন আসবে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে।’
ফসল রক্ষায় বাঁধ হাওরে একটি বড় বিষয়। এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘হাওরের ফসল রক্ষায় স্থায়ী সমাধান খোঁজা হবে। এমনিতে প্রথাগত পন্থায় বাঁধের কাজ হবে, কিন্তু আমরা চাই স্থায়ী সমাধান, কৃষকের মুখে সব সময় হাসি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হাওর বান্ধব। কৃষকের মুখে হাসি ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার অতীতের মতো সব সময় হাওরের মানুষের পাশে থাকবে।’
এরপর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে বিকেলে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। স্থানীয় এফআইভিডিবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান। অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন বালা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুমার তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।